ঢাকা: মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকার যে দাবি মুসা করেছেন, এর সপক্ষে দুদককে যথাযথ তথ্য দিতে পারেননি তিনি। তাই মামলা করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী। এর আগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় সম্পদের বিষয়ে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ২৭(১) ধারায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ দখলে রাখার অভিযোগে মামলার অনুমোদন দেয় কমিশন।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৭ জুন দুদকে দেয়া সম্পদ বিবরণীতে মুসা বলেছেন, সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসাবে) ‘ফ্রিজ’ অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়াও সুইস ব্যাংকের ভল্টে ৯০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা) দামের অলংকার জমা রয়েছে।
গাজীপুর ও সাভারে তার নামে প্রায় ১ হাজার ২০০ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মুসা। বর্তমান বাজার দরে এসব জমির মূল্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকারও বেশি। অধিকাংশ সময় দেশের বাইরে থাকায় এসব সম্পত্তির খাজনা পরিশোধ করে নামজারি করা সম্ভব হয়নি বলে জানান মুসা।
২০১৪ সালের জুন মাসে ‘বিজনেস এশিয়া’ নামের একটি সাময়িকীতে মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ওই বছরের ৩ নভেম্বর তার সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল বিষয়টি অনুসন্ধান করে।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা দাবি করেন, ৪২ বছর বিদেশে বৈধভাবে ব্যবসার মাধ্যমেই তিনি ১২ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছেন। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, মিসর, সিরিয়া, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের সরকারি প্রতিরক্ষা ক্রয়সংক্রান্ত পাওনা পরিশোধের অর্থ এসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে সুইস ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: